ভোলা ইসলামিয়া ইউনানী মেডিকেল কলেজ
ইউনানী চিকিৎসা শিক্ষার একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান হলো ভোলা ইসলামিয়া ইউনানী মেডিকেল কলেজ। এটি বাংলাদেশ ইউনানী অ্যান্ড আয়ূর্বেদিক সিস্টেমস্ অব মেডিসিন বোর্ডের অনুমোদনে ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার সময় বরিশাল বিভাগ (তৎকালীন খুলনা বিভাগের অন্তর্গত) ছিল এর প্রশাসনিক অবস্থান। ১৯৮৪ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চিকিৎসা শিক্ষা শাখা থেকে কলেজটি সরকারি স্বীকৃতি লাভ করে।
প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হাকীম আবদুল লতিফ সাহেব ভোলা সদর রোডের হাবিবিয়া দাওয়া খানায় অস্থায়ী কার্যালয়ে অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে ক্লাস চালু করে কলেজের যাত্রা শুরু করেন। পরে ২০১৩ সালে, ভোলা সদরের সংলগ্ন চরনোয়াবাদ এলাকায় আলতাজের রহমান সড়কে কলেজের নিজস্ব জমিতে একটি দ্বি-তলা ভবন নির্মাণ করা হয়, যেখানে বর্তমানে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
কলেজ প্রতিষ্ঠায় হাকীম আবদুল লতিফ সাহেবের বড় ছেলে ডা. হাকীম আতাউর রহমানসহ পরিবারিকভাবে জমি ও আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয় এবং প্রচণ্ড পরিশ্রমের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানকে গড়ে তোলা হয়। সেই সময়ের সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন:
- আলহাজ্ব ডাঃ আব্দুল মান্না
- আলহাজ্ব ইলিয়াস মাস্টার
- আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর
- মোঃ আনোয়ার মিয়া
- আলহাজ্ব সিদ্দিক কন্ট্রাক্টর
- মাওলানা রুহুল আমিন
- ইদ্রিছ মিয়া
- অধ্যাপক নাছির উদ্দিন
- অধ্যাপক মাওলানা নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।
ভোলা ইসলামিয়া ইউনানী মেডিকেল কলেজ থেকে এ পর্যন্ত শত শত ছাত্র ইউনানী চিকিৎসক হিসেবে সারা দেশে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে আসছে। ইউনানী চিকিৎসা শিক্ষা ও প্রচারের মাধ্যমে দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই কলেজটি বাংলাদেশ ইউনানী অ্যান্ড আয়ূর্বেদিক সিস্টেমস্ অব মেডিসিন বোর্ডের অধীনে বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আসছে এবং ১৯৮২ সেশন থেকে নির্ধারিত বোর্ড পরীক্ষা কেন্দ্রের মাধ্যমে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে কলেজটির অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন:
- হাকীম আবদুল লতিফ
- ডা. হাকীম আতাউর রহমান
- হাকীম আবুল কালাম আজাদী
বর্তমানে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন হাকীম মোঃ রাজিউর রহমান।
ভোলা ইসলামিয়া ইউনানী মেডিকেল কলেজ দৃঢ়ভাবে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও ইউনানী চিকিৎসা বিকাশের লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে, অতীতের গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধারণ করে আগামীর ভবিষ্যৎ নির্মাণে অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।